সংবাদ শিরোনাম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পান চাষিরা ভালো ফলন পেয়েও মারাত্মক বিপাকে পড়েছেন এখন তারা পান নিয়ে হতাশায় ভুগছেন

 প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২২ অপরাহ্ন   |   জেলার খবর

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পান চাষিরা ভালো ফলন পেয়েও মারাত্মক বিপাকে পড়েছেন এখন তারা পান নিয়ে হতাশায় ভুগছেন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

ভালে ফলনেও মুখে হাসি নেই পান চাষিদের চাঁপাইনবাবগঞ্জের পান চাষিরা ভালো ফলন পেয়েও বাজারে দাম পড়ে যাওয়ায় মারাত্মক বিপাকে পড়েছেন। এখন তারা পান নিয়ে হতাশায় ভুগছেন।

তাদের অভিযোগ, এক পণ পান এখন ৩ থেকে ৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে, যা খুচরা বাজারের একটি পানের সমান দাম। এতে উৎপাদন খরচ তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেকে আবার দাম না পেয়ে ক্ষোভে বাজারে ফেলে দিচ্ছেন পান। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে কৃষি বিভাগ চাষিদের বিকল্প ও লাভজনক ফসল চাষের পরামর্শ দিচ্ছে।

জানা যায়, গত কয়েক মাসের টানা বৃষ্টিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখনো বরজে পানের পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকরা। পাশাপাশি পরিপক্ক পান বাজারজাত করা হচ্ছে। তবে বাম্পার ফলন হয়েও দাম না থাকায় দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে চাষিদের।

কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর প্রতি পণ বড় পান বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়, মাঝারি ১০ টাকায় এবং ছোট পান ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। কিন্তু চলতি বছর একই বড় পান বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, মাঝারি ২০ থেকে ৩০ টাকা এবং ছোট পান মাত্র ৩ থেকে ৫ টাকা।

পানচাষিরা বলছেন, আগের তুলনায় এখন দাম অনেক কমে গেছে। বাজারে পান বিক্রি হচ্ছে না, চাহিদাও নেই। ফলে সকালে বরজ থেকে পান ভেঙে হাটে নিলেও ঠিকমতো বিক্রি করা যায় না, অনেকেই দাম না পেয়ে ক্ষোভে ফেলে দিচ্ছেন। দামের এই ধসের কারণে উৎপাদন খরচও উঠছে না। বরং যা খরচ হয়েছে তার অর্ধেকও ফেরত আসছে না।

পান চাষি হানিপ জানান, পানের উৎপাদন খরচ অনেক। খৈল, বাঁশ ও অন্যান্য উপকরণের দাম বাড়ায় খরচ বেড়েছে। অথচ বিক্রির সময় দাম মিলছে না। পান চাষি সিহাব বলেন, পানের নায্য দাম না পাওয়ায় আমি পান চাষ কমিয়ে দিয়েছি।

কৃষক নেতারা বলছেন, পানের বাজার টিকিয়ে রাখতে রফতানি বাড়াতে হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম মানিকের মতে, রফতানি কমে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। এ ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ ও কৃষি বিপণনের মধ্যে সমন্বয় জরুরি।

অন্যদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, ক্ষতির মুখ থেকে কৃষকদের রক্ষা করতে বিকল্প ও লাভজনক ফসলের দিকে নজর দিতে হবে। পান চাষে ইউসুফের বাজিমাত, বছরে আয় ৬ লাখ

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৫ হেক্টর জমিতে পানের চাষ হচ্ছে। যা গত বছরের তুলনায় ৫ হেক্টর কম।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন, লাভজনক ফসলগুলো আবাদের বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাতে তারা বেশি লাভবান হতে পারেন এবং বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ এগিয়ে নিতে পারেন।