বিএসসি’র নিজস্ব অর্থায়নে জাহাজ অর্জন যুগান্তকারী মাইলফলক - নৌপরিবহন উপদেষ্টা

ঢাকা, ৬ আশ্বিন (২১ সেপ্টেম্বর):
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি)-এর নিজস্ব অর্থায়নে জাহাজ কেনা হচ্ছে। নিঃসন্দেহে দেশের শিপিং ইন্ডাস্ট্রিতে এটি একটি যুগান্তকারী মাইলফলক। নতুন দুই জাহাজ বিএসসিতে যুক্ত হলে বছরে ১৫০ কোটি টাকা আয় বাড়বে।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে বিএসসি’র নিজস্ব অর্থায়নে দু’টি আধুনিক বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ সংগ্রহের লক্ষ্যে বিএসসি ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসি-এর মধ্যে জাহাজ সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বিএসসি’র নিজস্ব পরিবহন সক্ষমতা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার ডিডব্লিউটি বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের সমুদ্র বাণিজ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন হবে। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ পরিবেশবান্ধব গ্রিন শিপিংয়ের সম্মান অর্জন করবে।
অনুষ্ঠানে জানা যায়, বিএসসি’র বহরে যুক্ত হতে যাওয়া জাহাজগুলোতে জ্বালানি খরচ হ্রাস ও পরিচালন দক্ষতা বেশি এবং প্রধান ইঞ্জিন থেকে নাইট্রোজেন অক্সাইড নির্গমন কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। যা পরিবেশ দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমায়। নকশা ও প্রযুক্তিগত সমাধানগুলো জ্বালানি সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশগত মানদণ্ডসম্মত এবং আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সংস্থার নির্ধারিত সর্বশেষ পরিবেশগত মানদণ্ড পূরণ করে।
উল্লেখ্য, চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রথম জাহাজ অক্টোবর ২০২৫ এবং দ্বিতীয় জাহাজ ডিসেম্বর ২০২৫-এ বিএসসিতে হস্তান্তর করা হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বিএসসি’র জন্য আরো তিনটি জাহাজ কেনার বিষয় প্রক্রিয়াধীন। সব মিলিয়ে বর্তমান সরকারের সময়ে বিএসসির জন্য পাঁচটি জাহাজ কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন এই জাহাজগুলো যুক্ত হলে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন কেবল আয়ের দিক থেকেই লাভবান হবে না, বরং আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বাজারে ‘গ্রিন শিপিং নেশন’ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান আরো মজবুত হবে।