বিভিন্ন ধরনের আমের জুস তৈরির নিয়ম এবং সংরক্ষণের বিস্তারিত পদ্ধতি

১. সাধারণ পাকা আমের জুস (Mango Juice) তৈরির নিয়ম
উপকরণ:
পাকা আম – ২টি (মাঝারি)
ঠান্ডা পানি – ১ কাপ
চিনি – ২-৩ চামচ (স্বাদ অনুযায়ী)
লেবুর রস – ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
বরফ কুচি – পরিমাণমতো
প্রণালি:
1. আম ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে ছোট টুকরো করুন।
2. ব্লেন্ডারে আম, চিনি, ঠান্ডা পানি দিন।
3. মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন।
4. ছেঁকে নিলে মসৃণ জুস পাবেন (ঐচ্ছিক)।
5. লেবুর রস মিশিয়ে গ্লাসে বরফসহ পরিবেশন করুন
২. কাঁচা আমের জুস (আম পানা) তৈরির নিয়ম
উপকরণ:
কাঁচা আম – ২টি
চিনি / গুড় – ৩ চামচ (স্বাদমতো)
বিট লবণ – ১/২ চা চামচ
ভাজা জিরার গুঁড়ো – ১ চা চামচ
পানি – ২ কাপ
প্রণালি:
1. কাঁচা আম সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে আঁশ তুলে নিন।
2. ব্লেন্ডারে আম, চিনি, লবণ, জিরা গুঁড়ো ও পানি মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন।
3. ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
৩. আম-দুধ জুস (Mango Milkshake)
উপকরণ:
পাকা আম – ১টি
ঠান্ডা দুধ – ১ কাপ
চিনি – ২ চামচ
বরফ কুচি – পরিমাণমতো
প্রণালি:
1. সব উপকরণ ব্লেন্ডারে নিয়ে ব্লেন্ড করুন।
2. ঘন ও মসৃণ হয়ে গেলে পরিবেশন করুন।
স৪. আম-দই জুস (Mango Lassi)
উপকরণ:
পাকা আম – ১টি
টকদই – ১ কাপ
চিনি – ২-৩ চামচ
এলাচ গুঁড়ো – ১ চিমটি (ঐচ্ছিক)
প্রণালি:
1. ব্লেন্ডারে সব উপকরণ দিয়ে ব্লেন্ড করুন।
2. ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন
জুস সংরক্ষণের নিয়ম
১. ফ্রিজে সংরক্ষণ:
ঘরে তৈরি আমের জুস ১-২ দিনের বেশি ফ্রিজে না রাখা উত্তম।
সংরক্ষণের সময় পরিষ্কার কাচ বা BPA-free প্লাস্টিক বোতলে রাখুন।
২. ফ্রিজিং (Freezing):
বেশি দিন সংরক্ষণের জন্য জুস বরফের কিউব বানিয়ে ফ্রিজে রাখতে পারেন।
প্রয়োজনে কিউব বের করে পানি বা দুধের সাথে ব্লেন্ড করে পরিবেশন করুন।
৩. পাস্তুরাইজেশন করে সংরক্ষণ:
জুস ৮৫-৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ৫ মিনিট গরম করে ঠান্ডা করুন।
তারপর জীবাণুমুক্ত বোতলে ঢেলে ফ্রিজে রাখলে ৭-১০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।
৪. বটলজাত করে সংরক্ষণ (Commercial Scale):
প্যাকেটিংয়ের আগে জুসে প্রিজারভেটিভ (যেমন পটাসিয়াম সোर्बেট) মেশানো হয়।
এরপর সিল করে ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করা হল
বিশেষ টিপস:
ফ্রেশ জুস খাওয়াই সবচেয়ে ভালো।
সংরক্ষণের জন্য চিনি বা লবণযুক্ত জুস তুলনামূলক বেশি টিকে।
বোতলে সংরক্ষণের আগে জীবাণুমুক্ত করে নিন