সংবাদ শিরোনাম

বন পুনরুদ্ধার ও ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়নে তুরস্কের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে বাংলাদেশ -পরিবেশ উপদেষ্টা

 প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ০৪:৫৮ অপরাহ্ন   |   জাতীয়

বন পুনরুদ্ধার ও ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়নে তুরস্কের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে বাংলাদেশ -পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সাথে আজ ঢাকায় পানি ভবনে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের বৈঠককালে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ বন পুনরুদ্ধার ও ইকো-ট্যুরিজম খাতে তুরস্কের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে আগ্রহী।

তিনি বলেন, হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব প্রবণ এলাকায় বন পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তা এবং বনভূমি সংকোচন ও খাদ্যঘাটতির কারণে হাতি মৃত্যুর ঘটনাকে তুলে ধরে তিনি বলেন, টেকসই বন ব্যবস্থাপনায় কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি। বৈঠকে পরিবেশ সংরক্ষণ, টেকসই পর্যটন ও উন্নয়ন কার্যক্রমে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। রিজওয়ানা হাসান বলেন, উপযুক্ত বৃক্ষ প্রজাতি রোপণ এবং প্রকৃতি-কেন্দ্রিক পর্যটন উন্নয়নে কারিগরি সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরো বলেন, সিলেট অঞ্চলসহ কয়েকটি জায়গায় ইকো-ট্যুরিজম সাইট গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব না পড়ে।

রাষ্ট্রদূত সেন বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে আগ্রহের প্রশংসা করেন। তুরস্কের সহযোগিতা ও সমন্বয় সংস্থা টিকা (TIKA) ঢাকায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন খাতে মধ্যম পরিসরের প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য টিকা প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি জানান। টিকার ঢাকা অফিস ও উপদেষ্টার দপ্তরের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রকল্প চিহ্নিত ও বাস্তবায়নে সহযোগিতার পাশাপাশি টিকার সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সাথে উপদেষ্টার সংযোগ স্থাপনেও সহায়তা করবেন বলে জানান তুরস্কের রাষ্ট্রদূত।

বৈঠকটি বন পুনরুদ্ধার ও ইকো-ট্যুরিজম খাতে কার্যকর ও দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্প গ্রহণে উভয় পক্ষের আন্তরিক সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

সভায় তুরস্ক দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন মারভে ওজচেলিক (Merve Özçelik) এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।