কলার উপকারিতা ও গুণাগুণ

কলা একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সহজলভ্য ফল, যা প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। এতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ, প্রাকৃতিক চিনি ও আঁশ। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কলা রাখলে শরীর অনেক দিক থেকে উপকৃত হয়।
পুষ্টিগুণ (Per 100g কলা):
শক্তি (Energy): ৮৯ ক্যালরি
কার্বোহাইড্রেট: ২২.৮ গ্রম
প্রোটিন: ১.১ গ্রাম
চর্বি (Fat): ০.৩ গ্রাম
আঁশ (Fiber): ২.৬ গ্রাম
ভিটামিন B6, C, A
পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন
কলার উপকারিতা:
১. শক্তি বৃদ্ধি করে
কলা প্রাকৃতিক চিনি (গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ, সুক্রোজ)-এর উৎস হওয়ায় তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। খেলোয়াড় ও শিশুরা বিশেষভাবে উপকৃত হয়।
২. হজমে সহায়তা করে
কলার আঁশ হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
৩. হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো
কলায় থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৪. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়
ভিটামিন B6 স্নায়ুতন্ত্র ভালো রাখে এবং মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি উন্নত করে।
৫. দুশ্চিন্তা ও বিষণ্ণতা কমায়
কলায় ট্রিপটোফ্যান নামে একটি অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা মুড ভালো করতে সাহায্য করে।
৬. চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী
ভিটামিন A ও C চুলে শাইন ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৭. রক্তশূন্যতা রোধ করে
কলায় আয়রন থাকে, যা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সহায়ক।
৮. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
কম ক্যালরি ও উচ্চ আঁশ যুক্ত হওয়ায় এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে।
কলা কে কবে খাবেন?
সকালে খালি পেটে না খাওয়াই ভালো (অনেকের এসিডিটি হয়)
নাশতা বা বিকেলের দিকে খাওয়া উপযুক্ত
খেলার আগে বা পরে খাওয়া দারুণ উপকারী
সতর্কতা:
ডায়াবেটিস রোগীরা অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো
পাকা কলা বেশি খেলে ওজন বাড়তে পারে