তরমুজ চাষ: সঠিক সময়, উপযুক্ত স্থান ও দারুণ উপকারিতা

তরমুজ বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ফল। এতে পানি, ভিটামিন C, A, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,
লাইকোপিন ক্যালোরি কম ও কমাতে সহায়ক কাজ করে। বাংলাদেশের উষ্ণ ও রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া
ফলন ভালো হয় এবং এ মাটি তরমুজ চাষের জন্য বেশ উপযোগী।
তরমুজ চাষের উপযোগী সময়:
বীজ বপনের সময়: অগ্রহায়ণ থেকে মাঘ
মাস (নভেম্বর–জানুয়ারি) এই সময়ে
বপন করলে ফাল্গুন-চৈত্র (মার্চ–এপ্রিল) মাসে ফল পাওয়া যায়। বসন্তকাল (ফেব্রুয়ারি–মার্চ) – কিছু এলাকায়
এখনো চাষ করা হয়, তবে ফলন একটু কম হতে পারে।
ফসল সংগ্রহের সময়: বপনের ৭৫–৯০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ
করা যায়। তরমুজ চাষের উপযুক্ত স্থান ও মাটি: আবহাওয়া: উষ্ণ ও রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া ভালো।
তাপমাত্রা: ২৫–৩৫ C এর মধ্যে ভালো হয়।
মাটি: বেলে-দোআঁশ বা দোআঁশ মাটি উত্তম। পানি নিকাশের ব্যবস্থা ভালো থাকতে হবে। মাটির
pH: ৬.০–৭.৫ এর মধ্যে সর্বোত্তম।
উপযুক্ত অঞ্চল (বাংলাদেশ): চরাঞ্চল (যেমন: চাঁদপুর, ভোলা, কুড়িগ্রাম), উপকূলীয় অঞ্চল
(যেমন: পটুয়াখালী, বরগুনা), বরেন্দ্র অঞ্চল (যেমন: রাজশাহী, নওগাঁ), পাহাড়ি এলাকা
(যেমন: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) – উঁচু জমি হলে উপযোগী।
তরমুজের উপকারিতা:
পুষ্টিগুণ: পানি: ৯২% (শরীর ঠান্ডা রাখে),ভিটামিন
C, A, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট:
লাইকোপিন (ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক),ক্যালোরি কম –ওজন কমাতে সহায়কপানি: ৯২% (শরীর
ঠান্ডা রাখে),ভিটামিন C, A, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: লাইকোপিন (ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক),ক্যালোরি
কম – ওজন কমাতে সহায়ক
স্বাস্থ্য উপকারিতা: ডিহাইড্রেশন রোধ করে,
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, কিডনি পরিষ্কার রাখে, ত্বক ও চোখের জন্য ভালো , হজমে
সহায়তা করে অর্থনৈতিক দিক: তুলনামূলকভাবে কম খরচে চাষযোগ্য। বাজারে চাহিদা বেশি – ভালো
লাভ পাওয়া যায়। রপ্তানির সম্ভাবনাও রয়েছে।
উপসংহার: তরমুজ চাষ বাংলাদেশের জন্য একটি লাভজনক ও স্বাস্থ্যসম্মত ফল চাষের
বিকল্প। সঠিক সময়, মাটি ও যত্ন নিয়ে চাষ করলে অল্প সময়ে ভালো ফলন ও মুনাফা পাওয়া
সম্ভব।