সংবাদ শিরোনাম

টেলিকমখাতে যুগান্তকারী অগ্রগতি, অনুমোদিত হলো নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং নীতিমালা ২০২৫

 প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন   |   জাতীয়

টেলিকমখাতে যুগান্তকারী অগ্রগতি, অনুমোদিত হলো নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং নীতিমালা ২০২৫

ঢাকা, ২০ ভাদ্র (৪ সেপ্টেম্বর):

টেলিকমিউনিকেশন্স নেটওয়ার্ক এবং লাইসেন্সিং পলিসি ২০২৫ আজ উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আজ রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ নীতিমালার বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। 

এর আগের রেজিমে ২৬ ধরনের মোট ৩,২৯৯টি লাইসেন্স থাকার কারণে টেলিকম সেবার মানোন্নয়ন ও গুণগত মান অনুযায়ী দামের সামঞ্জস্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন নীতিমালায় লাইসেন্স কাঠামোকে মাত্র ৩ প্রকারে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। এর ফলে নাগরিক চাহিদা অনুযায়ী উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে অধিকতর মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হবে। 

আগের বহুমাত্রিক লাইসেন্স পদ্ধতির কারণে টেলিকম মার্কেট থেকে মধ্যস্বত্বভোগীরা উল্লেখযোগ্য ভ্যালু যোগ না করেই রাজস্বের অংশে ভাগ বসাত, যা এই পলিসির মাধ্যমে পরিবর্তন করা হয়েছে। এর ফলে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে এবং তা জলবায়ু অভিঘাতপ্রবণ এলাকায় কভারেজ সম্প্রসারণ, সাশ্রয়ীমূল্যে সেবা প্রদানসহ নাগরিকবান্ধব কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা যাবে। 

টেলিকম কোম্পানিগুলো নতুন এ নীতিমালায় অ্যাকটিভ ও প্যাসিভ শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলকভাবে উন্নততর সেবা প্রদান করতে পারবে। এর ফলে টেলিকম সেবার গুণগত মানোন্নয়ন নিশ্চিত হবে এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI) বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হবে।

পাশাপাশি এ নীতিমালায় নিত্যনতুন ডিজিটাল সার্ভিস প্রদানের  প্রতিবন্ধকতা দূর করে নতুনদের বিশেষ করে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি আকারের উদ্যোক্তাদের জন্য উদ্ভাবনের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীও কানেক্টিভিটির আওতায় আসবে এবং কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতে টেলিকম সেবা কার্যকর অবদান রাখতে সক্ষম হবে।