সংবাদ শিরোনাম

সামুদ্রিক সম্পদ নিরূপণে সমন্বিত পরিকল্পনা করতে হবে -- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

 প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০৩ অপরাহ্ন   |   জাতীয়

সামুদ্রিক সম্পদ নিরূপণে সমন্বিত পরিকল্পনা করতে হবে   -- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ঢাকা, ১৮ ভাদ্র (২ সেপ্টেম্বর): 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সমুদ্রে বাংলাদেশের কী ধরনের সম্পদ রয়েছে তা এখনো পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। এজন্য একটি সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে সামুদ্রিক সম্পদ নিরূপণ ও চিহ্নিত করে তা কাজে লাগাতে হবে। আর এজন্য মেরিন স্পেশাল প্ল্যান (এমএসপি)-এ যে পরামর্শ এসেছে সেগুলো মূল্যায়ন করতে হবে।

উপদেষ্টা আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মৎস্য অধিদপ্তর আয়োজিত মেরিন স্পেশাল প্ল্যান (এমএসপি) ওয়েব-জিআইএস প্লাটফর্মের আন্তঃমন্ত্রণালয় চূড়ান্ত ভ্যালিডেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বর্তমানে মেরিন ফিসারিজ ও ডিপ সি ফিসারিজের সম্ভাবনাকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি এ ব্যাপারে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন আরো গভীরভাবে কাজ করতে।’ কেননা আমাদের মন্ত্রণালয় অভ্যন্তরীণ মৎস্যসম্পদে কাজ করলেও গভীর সমুদ্রে মৎস্যসম্পদ নিয়ে বেশি কাজ করতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, মৎস্যজীবীদের টিকিয়ে রাখতে না পারলে মাছের উৎপাদন বাড়লেও তা আহরণ করার কেউ থাকবে না। এজন্য মৎস্যজীবী ও আনুষাঙ্গিক খাতের সাথে জড়িতদের রক্ষা করতে হবে, তাদের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে।

ফরিদা আখতার বলেন, ‘পরিবেশ-প্রতিবেশ তথা প্রাণ-প্রকৃতিকে নষ্ট করে কোনো উন্নয়ন হবে না বলে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন।’ তাই আমরা যত উচ্চ পর্যায়ের পরিকল্পনা করি না কেন সেখানে পরিবেশগত ও সামাজিক ভারসাম্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। কোনোভাবেই প্রাণ-প্রকৃতিকে নষ্ট করা যাবে না। তিনি আরো বলেন, মাছের চরিত্র বোঝে পরিকল্পনা সাজাতে হবে। সব মাছের স্বভাব-চরিত্র ও খাদ্যাভ্যাস এক নয়। যে মাছের জন্য যে ধরনের পরিকল্পনা দরকার তা করতে হবে। কেননা ইলিশ যেখানে থাকে বা যে ধরনের খাবার খায় তা অন্য মাছ খায় না। তাই এর জন্য একটি পরিবেশ দরকার।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, সমুদ্রসম্পদ ব্যবস্থাপনায় একটি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা জরুরি। এ খাতে অংশীজন ও তাদের দায়িত্ব নির্ধারণের পাশাপাশি গবেষণা জোরদারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। সচিব বলেন, দেশের সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ জরুরি, বিশেষ করে একটি ‘অল ওয়েদার ভেসেল’ থাকা প্রয়োজন, যা গবেষণা ও পর্যবেক্ষণে সারা বছর ব্যবহার করা যাবে।

কর্মশালায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, ইএমআরডি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় (এমইএফসিসি), পরিকল্পনা কমিশন, বিভিন্ন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বন্দর কর্তৃপক্ষ, পর্যটন বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।