দেশব্যাপী তারুণ্যের উৎসব উদ্যাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৫ শুরু

মুন্সীগঞ্জ, ১৫ ভাদ্র (৩০ আগস্ট):
দেশজুড়ে নতুন করে ফুটবলের উন্মাদনা ছড়িয়ে দিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) যৌথভাবে আয়োজন করেছে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৫। ‘তারুণ্যের উৎসব’-এর অংশ হিসেবে আয়োজিত এই আসরে অংশ নেবে দেশের ৬৪টি জেলা। প্রাথমিক রাউন্ডে ৬৪ জেলা আটটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। প্রতিটি গ্রুপের নামকরণ করা হয়েছে জুলাই শহিদদের নামানুসারে।
আজ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়াম, মুন্সিগঞ্জে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫-এর উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, তারুণ্যের উৎসব আয়োজন করার একটি মূল লক্ষ্য হচ্ছে তরুণদেরকে সমাজের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসা এবং তাদেরকে খেলাধুলাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে যুক্ত করা। এমন সুন্দর ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা যার মধ্যে দিয়ে তরুণরা মাদকসহ আরো অন্য ইভিল প্রাক্টিসগুলো থেকে বের হয়ে আসতে পারে। তারই অংশ হিসেবে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫-এর আয়োজন করা হয়েছে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ক্রীড়াঙ্গনে বিকেন্দ্রীকরণে কাজ করছে। ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণে সারাদেশে পাঁচটি মিনি বিসিবি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। ফুটবলের বিকেন্দ্রীকরণের জন্য বাফুফে কাজ করছে। অঞ্চলিক ফুটবল টুর্নামেন্টগুলো আয়োজন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫-এর মাধ্যমে প্রতিটি জেলা তাদের টিম গঠন করবে; ভালো ভালো খেলোয়াড়দেরকে তারা খুঁজে নিয়ে আসবে এবং তারা জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া নৈপুণ্য দেখানোর সুযোগ পাবে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সম্ভাবনাময়ী খেলোয়াড়দেরকে বাফুফে নির্বাচন করবে এবং সঠিক প্রশিক্ষণ ও পরিচর্যার মাধ্যমে তাদেরকে জাতীয় দলে অংশগ্রহণ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেবে। এইভাবে একটি ফুটবলে ইকোসিস্টেম তৈরি হবে।
উল্লেখ্য, প্রথম দুই ধাপ হবে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে। সেখান থেকে ৬৪ দল কমে হবে ৩২, এরপর ১৬, শেষ পর্যন্ত নকআউট পর্বে সেমিফাইনাল শেষে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় স্টেডিয়াম ঢাকায়। ফাইনালে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) সভাপতি শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফা।