বাণিজ্য সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন দেশের সাথে সংযুক্ত হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে - বাণিজ্য উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বাণিজ্যে বৈচিত্র্য ও সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন দেশের সাথে উদারভাবে সংযুক্ত হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিক্রয় প্রবৃদ্ধি ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ মূল্যে আমদানির সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সাথে ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
আজ চট্টগ্রামে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার চিটাগংয়ের হলরুমে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানের বাংলাদেশ সফর উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ‘মিটিং উইথ জাম কামাল খান এন্ড শেখ বশিরউদ্দীন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাণিজ্য বৃদ্ধি করা, আমদানি ও রপ্তানির সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং এসব খাতের বাইরেও আমরা অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করছি। আশা করি, বাংলাদেশের সব ব্যবসায়ীর একত্রিত শক্তিতে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি হবে।
গ্লোবাল ইকোনমিক ট্রেন্ড দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সামনে সুবর্ণ সুযোগ এসেছে, যদি একটি সঠিক ব্যবসায়িক রোডম্যাপ তৈরি করতে পারি তাহলে অবশ্যই ব্যবসা-বাণিজ্য অগ্রগতি হবে। আগামী পাঁচ বছরে আমরা কোথায় থাকতে চাই, কোন খাতে আমাদের শিল্পকে নিতে চাই সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি বলেন, নতুন প্রযুক্তি এআইয়ের সহযোগিতায় এখন আর বছরের নয়, ঘণ্টার হিসাবেই সবকিছু বদলে যাচ্ছে। তাই প্রস্তুত থাকতে হবে। খাদ্য, কৃষি, মৎস্য উৎপাদন, বাণিজ্য, সেবা খাত, মানুষে-মানুষে সংযোগ ও স্বাস্থ্যসেবা—এসবই আমাদের অগ্রাধিকার খাত। লেদার, ফুটওয়্যার, তৈরিপোশাক—এগুলোতেও আমরা শক্তিশালী। পাকিস্তান গম, চাল উৎপাদন করছে এবং আরো অনেক কিছু সরবরাহ করছে। তাই, দ’দেশের বাণিজ্য দারুণ সহযোগিতা হতে পারে।
পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক রোডম্যাপ তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা ভাবছি আগামী কয়েক বছরের জন্য একটি বাণিজ্যিক রোডম্যাপ তৈরি করব। কোন খাতগুলোতে নজর দিতে হবে, কোথায় বিনিয়োগ আসবে, কোন খাত আমদানি-রপ্তানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে—সেসব ওই রোডম্যাপে উঠে আসবে। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ স্বাক্ষরের পরই এ বিষয়ে খসড়া তৈরি হবে।
পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য আগ্রহ রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান বলেন, তবে বিমান সংযোগ না থাকলে এটি সম্ভব নয়। আমরা এই বছরের শেষ নাগাদ সরাসরি
পাকিস্তান-বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফ্লাইট চূড়ান্ত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। দুই দেশে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হলে মানুষে-মানুষে যোগাযোগ, ব্যবসায়িক সংযোগ, পণ্য পরিবহনসহ সবকিছু আরো সহজ হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা। আরো বক্তব্য দেন বিএসআরএম’র চেয়ারম্যান আলিহুসেইন আকবরআলী, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ড অ্যাসোসিয়েশনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, চেম্বারের সাবেক পরিচালক আমজাদ হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ। সমাপনী বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দিন।