সংবাদ শিরোনাম

বাংলাদেশ-পাকিস্তান জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে -- বাণিজ্য উপদেষ্টা

 প্রকাশ: ২১ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৫৮ অপরাহ্ন   |   জাতীয়

বাংলাদেশ-পাকিস্তান জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে   -- বাণিজ্য উপদেষ্টা

ঢাকা, ৬ ভাদ্র (২১ আগস্ট):

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বাড়াতে দেড় দশক ধরে অকার্যকর থাকা বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

আজ ঢাকায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা একথা বলেন। 

বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীর যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন কার্যকর করা এবং নতুন করে ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশন গঠনের আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, দুই দেশ যৌথভাবে বা বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে ইন্টারমেডিয়েট পণ্য উৎপাদন করতে পারলে তা উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে। 

উপদেষ্টা বলেন, আমাদের হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের ওপর পাকিস্তান আন্টি ডাম্পিং ডিউটি আরোপ করে রেখেছে। আমরা সেটা প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করেছি। তাঁরা আশ্বাস দিয়েছে। এছাড়া আমাদের চামড়া ও চিনি শিল্প উন্নয়নে সহায়তা চেয়েছি। তিনি বলেন, এক সময় পাকিস্তান আমাদের ১ কোটি কেজি চা রপ্তানিতে ডিউটি ফ্রি সুবিধা দিতো, তা আবার বহাল করতে অনুরোধ করেছি। বাংলাদেশ প্রতিবছর ৮০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করে যার মধ্যে ১৫ বিলিয়ন ডলারের ফুড এন্ড ইন্টারমেডিয়েট পণ্য। দুই দেশের মধ্যে এসব পণ্যের বাণিজ্য বাড়ানোর সুযোগ আছে, সেটা খতিয়ে দেখার জন্য নতুন ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশন গঠন করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা কৃষি, খাদ্যপণ্য ও ফল আমদানি-রপ্তানি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া মধ্যবর্তী পণ্য উৎপাদনে পাকিস্তানের বিনিয়োগের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। তাঁরা আমাদের সকল প্রস্তাবে ইতিবাচকভাবে দেখেছে এবং নতুন কমিশনে এসব বিষয়ে আলোচনা হবে।

বাণিজ্য সচিব মাহবুবর রহমান বলেন, গত দেড় দশক পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্য তেমন ছিলো না বললেই চলে। খাদ্য ও পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য আমরা নানা দেশ থেকে আমদানি করি, প্রতিযোগিতামূলক দরে পাকিস্তান থেকে এসব পণ্য আনা গেলে সমস্যা নেই। একই সঙ্গে আমাদের রপ্তানি বাড়ানোতে গুরুত্ব দিছি।