নৌপরিবহন উপদেষ্টার সাথে চীনের এক্সিম ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ৬ ভাদ্র (২১ আগস্ট):
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে চীনের এক্সিম ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াং ডংনিং (Yang Donging) এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল চীনের এক্সিম ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে নৌপরিবহন উপদেষ্টা মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এক্সপানশন এন্ড মর্ডানাইজেশন অব মোংলা পোর্ট প্রকল্পের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, মোংলা বন্দরের অবস্থান কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এখানে এ অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ বন্দরে বর্তমানে কোন টার্মিনাল জেটি না থাকায় উক্ত প্রকল্পের অধীনে দুটি টার্মিনাল জেটি নির্মাণ করা হবে যা মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। প্রকল্পটি ফেব্রুয়ারি ২০২৫ এ অনুমোদিত হয়েছে। এক্ষেত্রে জিওবি অংশে অর্থায়ন নিশ্চিত কিন্তু চায়না অংশে লোন এগ্রিমেন্ট না হওয়ায় প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না।
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চায়না জিটুজি ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে বিএসসি এর ‘দুটি ক্রুড ওয়েল ট্যাংকার এবং দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের জন্য আরো দু’টি জাহাজ ক্রয়ের কার্যক্রম চলমান আছে এবং শীঘ্রই আরো তিনটি জাহাজ ক্রয়ের কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
এ সময় চায়না এক্সিম ব্যাংকের পক্ষ হতে মোংলা বন্দরের প্রকল্পটির লোন এগ্রিমেন্টের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করা হয় এবং চলতি বছরের মধ্যেই ঋণ চুক্তিটি সম্পাদনে চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সি (CIDCA) সাথে আলোচনাক্রমে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়। এছাড়া, বিএসসি এর জাহাজ ক্রয়ের লোন এগ্রিমেন্ট এ বছরের মধ্যে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং চলতি অর্থ বছরের প্রকিউরমেন্ট প্ল্যানে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এক্সিম ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াং ডংনিং বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে আরো বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে বিনিয়োগের অনুকূল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কোন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়ে থাকে। ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামো ও শিপিং সেক্টরের উন্নয়নে আরো প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
বৈঠকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমানসহ উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।