সকল মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হব -- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, গরিবের জন্য অনিরাপদ খাদ্য আর মধ্যবিত্তের জন্য নিরাপদ খাদ্য- এ ধরনের বৈষম্য দূর করতে হবে। সকল মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।
উপদেষ্টা আজ ঢাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত খাদ্য সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ৭ম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদবধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায়
এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, খাদ্য নিয়ে আলোচনা প্রায়শই কৃষিকে কেন্দ্র করেই শুধুমাত্র সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু খাদ্য উৎপাদন শুধু কৃষি থেকেই নয়; মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদ খাতও এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশ্বের অনেক দেশেই খাদ্য নিরাপত্তা এবং খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে একসাথে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে কৃষির সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের গুরুত্ব বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয় না।
উপদেষ্টা আরো বলেন, খাদ্য উৎপাদন এবং জনস্বাস্থ্যের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ না করলে জনস্বাস্থ্যের জন্য তা হুমকি হতে পারে। বর্তমানে অনেক সচেতন মানুষ বেশি টাকা দিয়ে হলেও রাসায়নিক ও এন্টিবায়োটিকমুক্ত মাছ-মাংস কিনতে আগ্রহী। কিন্তু সাধারণ মানুষ বা খেটে খাওয়া মানুষ নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে সচেতন নয়, তাই তাদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে কাজ করতে হবে।
ফরিদা আখতার বলেন, কৃষিতে কীটনাশক ও আগাছানাশকের ব্যবহার শুধু কৃষিকেই নয় প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেফ ফুডের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. খালেদ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শোয়েব। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ড্রাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এর প্রেসিডেন্ট শামসুল আরেফিন খালেদ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিরডাপের মহাপরিচালক ড. পি.চন্দ্র শেখারা। এসময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষার্থীসহ সরকারি-বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।