সংবাদ শিরোনাম

রাজশাহীতে খানকা শরিফে হামলা, অভিযোগ পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার

 প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন   |   জেলার খবর

রাজশাহীতে খানকা শরিফে হামলা, অভিযোগ পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার

নিজস্ব প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের পানিশাইল চন্দ্রপুকুর গ্রামে একটি খানকা শরিফে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজ শেষে দেড় শতাধিক মানুষ মসজিদ থেকে বের হয়ে খানকার দিকে যায় এবং সেখানে ভাঙচুর চালায়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, খানকা শরিফটির নাম ‘হক বাবা গাউছুল আজম মাইজ ভান্ডারী গাউছিয়া পাক দরবার শরিফ’। প্রতিষ্ঠাতা আজিজুর রহমান ভান্ডারী প্রায় ১৫ বছর আগে বাড়ির পাশে এটি গড়ে তোলেন। প্রতিবছর এখানে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে অনুষ্ঠান হয়। এ বছর তিন দিনের আয়োজনকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই কিছু মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। নারী শিল্পীর উপস্থিতি ও ভান্ডারী গানের আয়োজন নিয়ে আপত্তি তুলেছিল একাংশ।

ঘটনার সময় পবা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম পুলিশ নিয়ে সেখানে উপস্থিত থাকলেও উত্তেজিত জনতাকে থামাতে পারেননি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পুলিশ কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।

আজিজুর রহমান ভান্ডারী বলেন, “অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য কিছু মানুষ আগেই চাপ দিচ্ছিল। হামলার সময় ভক্তরা আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে দেয়নি। তারা আমার বাড়ি লক্ষ্য করেও ইট-পাটকেল ছুড়েছে। আমি কাউকে দোষ দিতে চাই না, সবাইকে মাফ করে দিলাম।”

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর কিছু নেতা-কর্মী এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন। তবে অভিযুক্তরা নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, “ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে