সংবাদ শিরোনাম

হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রায় ৯ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান

 প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ১১:৩৯ অপরাহ্ন   |   জেলার খবর

হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রায় ৯ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান

শেরপুরের মধুটিলা ইকোপার্কে হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান  ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করেন। হাতির আক্রমণে নিহত দুই পরিবারকে মোট ৬ লক্ষ টাকা ও ফসল-ঘরবাড়ির ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৫ পরিবারকে ৩ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা প্রদান করেন উপদেষ্টা। এছাড়া এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যদের মাঝে বাইনোকুলার, টর্চ লাইট, হ্যান্ডমাইক, হুইসেলসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।

এসময় পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনের স্থায়ী সমাধানে কাজ করছে সরকার। এক্ষেত্রে আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। মানুষ হাতির আবাসস্থল দখল করে নেওয়ায় হাতির খাবার কমে যাচ্ছে। বিদেশি ও বাণিজ্যিক গাছের পরিবর্তে আমাদের দেশীয় প্রজাতির ও প্রাকৃতিক গাছ রোপণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বন ফিরিয়ে আনতে হবে; প্রাকৃতিক বন ধ্বংস হলে আমরাও নিরাপদ থাকবো না। হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগকে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।

বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, কেন্দ্রীয় বন অঞ্চলের বন সংরক্ষক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো: ছানাউল্লাহ পাটওয়ারী, বিজিবি কমান্ডার লে. কর্নেল তানভির হোসেন মজুমদার, ইআরটির সদস্য ইমতিয়াজ আলী ও মোহাম্মদ হাসমত আলী।

এর আগে উপদেষ্টা শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার দাওধারা গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র এবং মধুটিলা রেঞ্জের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাগান প্রকল্প পরিদর্শন করেন।

২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত হাতি-মানুষ দ্বন্দ্বে মৃত ৪৫ জনের পরিবারকে মোট ৯১ লক্ষ টাকা, আহত ৩৪ জনকে ১০ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা এবং ৯০৬ জনের ফসল ও ঘরবাড়ি ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ কোটি ৬৮ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। মোট ক্ষতিগ্রস্ত ৯৮৫ জনকে ২ কোটি ৭০ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।