সংবাদ শিরোনাম

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার বাণী

 প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০১ অপরাহ্ন   |   জাতীয়

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার বাণী

ঢাকা, ২১ ভাদ্র ( ৫ সেপ্টেম্বর) :    

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.)’ উপলক্ষ্যে বাণী প্রদান করেছেন:

“বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, সর্বশেষ নবি ও রসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত একটি দিন। এ উপলক্ষ্যে আমি দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি। 

হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ তথা সমগ্ৰ বিশ্বজগতের জন্য রহমত। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে সমগ্র মানবজাতির হেদায়েত ও নাজাতের জন্য প্রেরণ করেছেন। নবি করিম (সা.) সম্পর্কে পবিত্র কোরানে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘হে নবি, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য কেবল রহমতরূপে প্রেরণ করেছি’ (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)। হজরত মুহাম্মদ (সা.) দুনিয়ায় এসেছিলেন ‘সিরাজাম মুনিরা’ অর্থাৎ আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, দাসত্ব ও পাপাচারের অন্ধকার থেকে মানুষকে মুক্তি ও আলোর পথ দেখাতে শান্তি, প্রগতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তিনি। আল্লাহর প্রতি অসীম আনুগত্য ও ভালোবাসা, অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, অপরিমেয় দয়া ও মহৎ গুণের জন্য পবিত্র কোরানে মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনকে বলা হয়েছে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ্’ অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ। তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য যে অনিন্দ্য সুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন, তা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের জন্য মুক্তির দিশারি হিসেবে পথ দেখাবে। 

মহানবি (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ আজকের এ দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে। ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় এবং এর মধ্যেই মুসলমানদের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) সকলের মাঝে বয়ে আনুক অপার শান্তি ও সমৃদ্ধি। সমগ্র মুসলিম উম্মার ঐক্য আরো সুসংহত হোক। মহানবি (সা.)-এর সুমহান জীবনাদর্শ লালন ও অনুসরণের মাধ্যমে আমাদের ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তি সুনিশ্চিত হোক-এ কামনা করি। আমিন।”