সংবাদ শিরোনাম

থাইল্যান্ডের এআইটিতে ২য় মেঘনা নলেজ ফোরাম প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান এবং উন্নত দেশগুলোর দায়িত্ব পালনের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

 প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪১ অপরাহ্ন   |   জাতীয়

থাইল্যান্ডের এআইটিতে ২য় মেঘনা নলেজ ফোরাম প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান এবং উন্নত দেশগুলোর দায়িত্ব পালনের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

ঢাকা, ৮ শ্রাবণ (২৩ জুলাই):  

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বৈশ্বিক অংশীজনদের প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান গ্রহণে এবং উন্নত দেশগুলোকে যথাযথ জলবায়ু দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় মেঘনা নলেজ ফোরামে আজ ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের উন্নয়ন ভাবনাকে অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। এটি কম প্রতিকূল, কম সম্পদ-কেন্দ্রিক এবং আরো বেশি প্রকৃতি-কেন্দ্রিক হতে হবে।

বাংলাদেশের নদী এবং জাতীয় পরিচয়ের গভীর সম্পর্ক তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, নদী ও নদীর পরিবেশ আমাদের অস্তিত্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি প্রতিবেশী দেশ-নেপাল, ভারত ও চীনের সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত নদী ব্যবস্থাপনায় আরো জোরালো আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের চারটি প্রধান নদী অববাহিকা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভাগাভাগি করা-ফলে সহযোগিতামূলক পরিবেশ শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।

তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিচারব্যবস্থা ইতোমধ্যে নদীর অধিকারকে স্বীকৃতি দিতে শুরু করেছে এবং আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে এ বিষয়ে আলোচনা হওয়া উচিত।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, হাওর বাংলাদেশের একটি অনন্য প্রতিবেশব্যবস্থা। হাওর ও মেঘনা অববাহিকা আজ পরিবেশ দূষণ, বালু উত্তোলন, অনিয়ন্ত্রিত উন্নয়ন ও ঘনঘন আকস্মিক বন্যার হুমকির মুখে রয়েছে বলে উপদেষ্টা সতর্ক করেন। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কার্যকর পূর্ব সতর্কতা ব্যবস্থা না থাকার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দক্ষিণ এশিয়ার যুবসমাজকে তথ্যপ্রবাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

উপদেষ্টা আরো বলেন, বাংলাদেশ প্রথম দক্ষিণ এশীয় দেশ হিসেবে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক নদী ও হ্রদ সুরক্ষা সংক্রান্ত কনভেনশনে সম্পৃক্ত হয়েছে, যা এই অঞ্চলে পরিবেশ নেতৃত্বের অন্যতম দৃষ্টান্ত। তবে আঞ্চলিক সংস্থা সার্ক এখনো নদী বিষয়টিকে দ্বিপাক্ষিক বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে-যা আঞ্চলিক সহযোগিতাকে বাধাগ্রস্ত করে বলে মন্তব্য করেন তিনি। যখন সরকারগুলো পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, তখন এ ধরনের ফোরামগুলোতে কমিউনিটির কণ্ঠস্বর এবং জ্ঞানকে প্রাধান্য দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। 

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিমসটেকের সেক্রেটারি জেনারেল ইন্দ্র মণি পাণ্ডে, থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির প্রেসিডেন্ট ড. পাই-চি লি; আইইউসিএন, এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ড. দিন্দো ক্যাম্পিলান; আইইউসিএন, এশিয়ার প্রধান প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট রাকিবুল আমিন; থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী; আইইউসিএন, সাউথ এশিয়ার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার বিশ্বরঞ্জন সিনহা; অক্সফাম এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক জন স্যামুয়েল; সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মেধা বিশ্বাস প্রমুখ।