সংবাদ শিরোনাম

শিশুশ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সংশোধিত শ্রম আইনে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করা হবে : শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব

 প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৪ অপরাহ্ন   |   জাতীয়

শিশুশ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সংশোধিত শ্রম আইনে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করা হবে : শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব

ঢাকা, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই):

শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, শিশুশ্রম নিরসনে শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধন করে আন্তর্জাতিক মান বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, সকল প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শিশুশ্রম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

আজ ঢাকার একটি হোটেলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত শিশুশ্রম নিরসনে কার্যক্রম বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় সচিব একথা বলেন। 

শ্রম সচিব বলেন, ঢাকা শহরে অনেক পথশিশু আছে যারা বিভিন্ন নেশায় আকৃষ্ট হয়। আমাদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের স্কুলমুখী করানো। সরকার ১৯৯০ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে। পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হয়। আমরা চাই শিশুরা স্কুলে যাবে, কাজে নয়।

শ্রম সচিব মতবিনিময় সভায় বলেন, আজ সভায় উপস্থিত ৪৮টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থাকে শিশুশ্রম নিরসনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন এনজিও, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং সরকারের সমন্বিত উদ্যোগ ও আন্তঃসমন্বয় পারে শিশুশ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে। 

শ্রম সচিব আরো বলেন, আমরা গত ১৯ জুন বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস পালন করেছি। আমরা শিশুশ্রম প্রতিরোধ বিষয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে তরুণ সমাজকে সম্পৃক্ত করেছি। শিশুশ্রম প্রতিরোধে লিড মিনিস্ট্রি হিসেবে আমাদের মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ৪৩ টি সেক্টরকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। এছাড়াও দিবসটিতে বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে শিশুশ্রম প্রতিরোধ করার জন্য। 

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা আখতারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায়  উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) জাহেদা পারভীন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন  কর্মকর্তাবৃন্দ, জার্মান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন, ইউনিসেফ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিনিধি এবং অ্যাকশন এইড ও কারিতাসসহ বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।