দেশীয় মাছের সংকট নিরসনে উন্মুক্ত জলাশয়ের বিকল্প নেই -- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

কুড়িগ্রাম, ৩১ ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর):
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সারা দেশে দেশীয় মাছের সংকট প্রকট হয়ে উঠছে। এই সংকট নিরসনে উন্মুক্ত জলাশয়ের কোনো বিকল্প নেই। সরকার দেশের নদ-নদীতে মাছের অভয়ারণ্য তৈরি করতে কার্যক্রম গ্রহণ করছে।
আজ কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, নারী কৃষক এবং স্থানীয় এনজিও কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আলোচনা সভার আয়োজন করে।
উপদেষ্টা বলেন, বন্যায় নদীগুলোতে পলি পরার কারণে নাব্যতা হ্রাস, পানিদূষণ, চায়না জাল ব্যবহার ও ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ আহরণের কারণে দিন দিন মাছের পরিমাণ কমছে। জোরালো অভিযান চালিয়ে এসব মাছ ধরার অবৈধ যন্ত্রপাতি উদ্ধার করতে হবে। অভিযান চলমান রাখতে নদীগুলোতে স্পিড বোটের ব্যবহার করা হবে। চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে তারা সরকারি অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া তিনি প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান। উপদেষ্টা বলেন, উৎপাদিত দুধ যথাযথ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের অভাবে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তাই এই অঞ্চলে চিলিং সেন্টার স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
জুলাই যোদ্ধাদের আত্মত্যাগ প্রসঙ্গে ফরিদা আখতার বলেন, জুলাই যোদ্ধাগণ অনেকে জীবন উৎসর্গ করেছেন, আবার অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের এই ঋণ ভুলবার নয়। এজন্য তিনি সরকারি ও এনজিওর উদ্যোগে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ সভাপতিত্ব করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোক্তাদির খান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ রানা।
এরপর উপদেষ্টা কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের ছড়ারপাড় গ্রামে এক নারী কৃষকের বাড়ি পরিদর্শন করেন।