সংবাদ শিরোনাম

সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সরকার - শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা

 প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৯ অপরাহ্ন   |   জাতীয়

সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সরকার   - শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৬ ভাদ্র (১০ সেপ্টেম্বর): 

শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের জন্য সরকার প্রদত্ত সুদমুক্ত ঋণ যথাসময়ে ফেরত না দিলে সংশ্লিষ্ট শিল্প কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শ্রম অসন্তোষ নিরসনে সরকারের নিকট হতে সুদমুক্ত ঋণ গ্রহণকারী শিল্প কারখানাসমূহের নিকট হতে ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের অংশগ্রহণে আয়োজিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপদেষ্টা একথা বলেন। 

উপদেষ্টা জানান, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রম অসন্তোষ নিরসনের লক্ষ্যে সরকার বার্ডস গ্রুপ, টিএনজেড গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, ডার্ড গ্রুপ, নায়াগ্রা টেক্সটাইলস লি., রোয়ার ফ্যাশন লি., মাহমুদ জিন্স লি., স্টাইল ক্রাফট লি. এবং গোল্ডস্টার গার্মেন্টস লি.-কে অর্থ বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় তহবিল, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ চুক্তির আওতায় উক্ত অর্থ পরিশোধ করছে না।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সুদমুক্ত ঋণ ফেরত না দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। তাদের পাসপোর্ট জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে কয়েকজন পলাতক মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি পলাতক মালিক ও প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট স্থগিত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ঋণের টাকা শ্রমিকের টাকা এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এ টাকা আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।’ এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে তিনি জানান। তিনি সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও প্রতিনিধিদের লিয়েন ব্যাংকের সাথে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানের জমি, কারখানা এমনকি যন্ত্রপাতি বিক্রি করে হলেও ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঋণের সকল টাকা পরিশোধ করতে বলেন। তিনি এ বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-কে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, বিজিএমইএ-এর সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা কারখানার মালিকদের উপস্থিতিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।