তোহাখানা মসজিদ – চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক ঐতিহাসিক স্থাপনা

অবস্থান: শাহবাজপুর ইউনিয়ন, শিবগঞ্জ উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা।
নির্মাণকাল: আনুমানিক ১৬৫৫ খ্রিস্টাব্দ
নির্মাতা: মুঘল সুবাদার শাহ সুজা (সম্রাট শাহজাহানের পুত্র)
স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য:
১. ভবনের গঠন:
তোহাখানা একটি দ্বিতল বিশিষ্ট ইমারত। তবে পশ্চিম দিক থেকে এটি একতলা দেখায়, আর পূর্ব দিক থেকে স্পষ্টভাবে দ্বিতল দেখা যায়।
পুরো ভবনটি তৈরি করা হয়েছে ইট ও চুন-সুরকি দিয়ে। কিছু অংশে পাথরের কাজও দেখা যায়।
২. মসজিদ ও অন্যান্য অংশ:
মূল মসজিদটি তোহাখানা ভবনের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত।
মসজিদের পাশে একটি গোসলখানা (হাম্মাম) ছিল, যা রাজপরিবারের ব্যবহারের জন্য ছিল।
হাম্মামের সাথে একটি অষ্টভুজাকার পাথরের চৌবাচ্চা ছিল, যেখান থেকে পানি সরবরাহ হতো।
এখানে একটি ছোট পারিবারিক মসজিদ এবং একটি ধ্যানকক্ষও ছিল বলে ধারণা করা হয়।
৩. স্থাপত্যশৈলী:
তোহাখানা মসজিদে মুঘল স্থাপত্যের প্রভাব স্পষ্ট। এটি সেই যুগের বাংলায় মুঘল রীতিতে নির্মিত অন্যতম প্রাচীন স্থাপনা।
ছাদের নিচে কাঠের বিম, দেয়ালে খোদাই করা অলংকরণ এবং দরজার উপর পাথরের অলংকরণ ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।
তোহাখানা নামের অর্থ ও তাৎপর্য:
‘তোহাখানা’ শব্দটি ফারসি, যার অর্থ ‘ঠান্ডা ভবন’ বা ‘বসন্তকালীন প্রাসাদ’। ধারণা করা হয়, গ্রীষ্মকালে রাজপরিবার এখানে বিশ্রাম নিতে আসতেন।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
এটি বাংলার মুঘল যুগের প্রথমদিকের অন্যতম অনন্য নিদর্শন।
ঢাকার লালবাগ কেল্লা কিংবা মুর্শিদাবাদের স্থাপত্যের আগেই তোহাখানায় মুঘল রীতির প্রয়োগ হয়।
বর্তমান অবস্থা ও সংরক্ষণ:
বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এই মসজিদ ও কমপ্লেক্সটি সংরক্ষণ করছে।
এটি এখন একটি জনপ্রিয় পর্যটনস্থল এবং ঐতিহাসিক গবেষণার কেন্দ্র।
এছাড়া প্রতিবছর বছর ৩২ সকাল বেলা