অধিগ্রহণ করা অব্যবহৃত ও বেদখলকৃত জমি পুনরুদ্ধার করা খুবই জরুরি-ভূমি উপদেষ্টা

ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট):
ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, অধিগ্রহণকৃত জমি যে কাজের জন্য নেওয়া হচ্ছে সে কাজ ব্যতিত অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না। জমি ব্যবহৃত না হলে জেলা প্রশাসকের নিকট সেই জমি ফেরত দিতে হবে। অধিগ্রহণ করা অব্যবহৃত ও বেদখলকৃত জমি পুনরুদ্ধার করা খুবই জরুরি। আমাদের ভূমি দিনে দিনে হ্রাস পাচ্ছে তাই ভূমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। একসময় জেলা, উপজেলা এবং গ্রামে পোস্ট অফিস, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, টেলিগ্রাফ অফিস ছিল সেই জমি উদ্ধার করে অন্ততপক্ষে বনায়ন করা হলেও ভূমিগুলো সরকারের দখলে থাকবে। এই ধরনের জমি পুনরুদ্ধার ও ব্যবহারের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া সময়ের দাবি।
আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভূমি উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ‘অধিগ্রহণকৃত অব্যবহৃত ও বেদখল জমি ব্যবহার ও পুনরুদ্ধার’ বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’র ১ম সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
ভূমি উপদেষ্টা আরো বলেন, অব্যবহৃত ও বেদখল জমি উদ্ধার করা রাষ্ট্রের জন্য খুবই কল্যাণকর। এর ফলে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে, ভূমি রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে এবং পরিকল্পিত নগরায়ণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে, যা জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে। অব্যবহৃত ও বেদখলকৃত জমি উদ্ধার করা রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমির প্রয়োজন হলেও কিনে নিতে হবে ,নামমাত্র মূল্যে নয়, প্রকৃত মূল্যে কিনতে হবে। প্রয়োজনে আইনের সংশোধন ও নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, অর্পিত সম্পত্তি ও শত্রু সম্পত্তির ক্ষেত্রে আইনজীবী নিয়োগে আরো সতর্ক হতে হবে। অন্যথায় জমিগুলো সব বেদখল হয়ে যাবে। ঢাকা শহরের কয়েক হাজার অর্পিত সম্পত্তি রয়েছে যার অধিকাংশ বেদখলে।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে কো-অপ্ট করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদের নেতৃত্বে ‘স্টক টেকিং’ কমিটি এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ এহছানুল হকের নেতৃত্বে ‘ব্যবহার সংক্রান্ত’ কমিটি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ; সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ এহছানুল হক; সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ; কৃষি সচিব এমদাদ উল্লাহ মিয়ান; পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান এবং ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।