শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গণঅভ্যুত্থানে আহত রিকশা শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান প্রদান

ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট):
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত রিকশা শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে গণঅভ্যুত্থানে আহত ৯ জন রিকশা শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
গতকাল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান আহত রিকশা শ্রমিকদের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান করেন।
আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, রিকশাচালক ভাইয়েরা গণঅভ্যুত্থানে তাদের রক্ত দিয়ে দেশকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। তাদের এই আত্মত্যাগ জাতি কখনো ভুলবে না। তিনি রিকশাচালকদের সংগঠিত হয়ে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও নিবন্ধনের পরামর্শ দেন, যাতে তাদের অধিকার আদায় সহজ হয়। পাশাপাশি, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে শিক্ষা ও চিকিৎসা সহায়তা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধনসহ সকল সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
আবেগঘন মুহূর্ত স্মরণ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ মোঃ সোহেলের জননী রহিমা বেগম অনুষ্ঠানে বলেন, ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান ছিল আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। আমার সন্তানের রক্ত বৃথা যায়নি-এ দেশ এখন সবার জন্য সমৃদ্ধ হবে। রিকশা শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তৃতায় বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মোঃ মুনির হোসেন খান বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ সবার জন্য কল্যাণকর হবে।
অনুষ্ঠান শেষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ মোঃ সোহেলের জননী রহিমা বেগম এবং পিতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম একটি বর্ণাঢ্য রিকশা শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ৩০০ রিকশাচালকের অংশগ্রহণে এ বর্ণাঢ্য রিকশা শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক মুহূর্তসমূহ ফুটিয়ে তোলা গ্রাফিতি ও প্ল্যাকার্ড বহন করা হয়। এটি রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মোঃ জহিরুল ইসলাম, শিল্পকলা একাডেমির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং ঢাকার বিভিন্ন এলাকার রিকশা শ্রমিক।