সংবাদ শিরোনাম

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আলেম-ওলামাগণের সহায়তা প্রয়োজন - পরিবেশ উপদেষ্টা

 প্রকাশ: ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:০৫ অপরাহ্ন   |   জাতীয়

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আলেম-ওলামাগণের সহায়তা প্রয়োজন  - পরিবেশ উপদেষ্টা

ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট) :

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে দেশের আলেম-উলামাগণের সহায়তা প্রয়োজন। তারা এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা জমা দেবেন বলে সরকারের প্রত্যাশা। তিনি বলেন, ধর্মীয় বয়ানে প্লাস্টিক দূষণ, পাহাড় কাটা, পাথর উত্তোলন রোধ-সহ পরিবেশ সচেতনতা বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত করলে মানুষের আচরণ পরিবর্তনে তা অত্যন্ত কার্যকর হবে।

আজ পরিবেশ অধিদপ্তরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কর্মপন্থা নির্ধারণে দেশের বিশিষ্ট আলেম-ওলামাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, উন্নত দেশগুলোতে সরকার ও জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগে শব্দদূষণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বাংলাদেশেও আমরা এ ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে চাই। আমরা শুধু বক্তৃতা নয়, বাস্তবে কাজ শুরু করতে চাই। কনসার্ট, অ্যাম্বুলেন্স ও পরিবহন খাতে নিয়ন্ত্রিত শব্দ ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে।

সভায় অংশগ্রহণকারী আলেম-ওলামাগণ শব্দদূষণরোধে সরকারের কাছে পরিকল্পনা দিতে সম্মত হন। পরিবেশ উপদেষ্টা কোরআন-হাদিসভিত্তিক বার্তার মাধ্যমে শব্দদূষণবিরোধী সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে সম্মিলিত উদ্যোগেই গড়ে উঠবে পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, হাদিস শরীফসহ বহু ইসলামী গ্রন্থে শব্দ সংযমের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। গভীর রাতে উচ্চ শব্দে মাইক ব্যবহার শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের জন্য কষ্টকর। তিনি আরো বলেন, উচ্চ শব্দ শুধু কানে ব্যথা দেয় না, নার্ভাস সিস্টেমেও বিরূপ প্রভাব ফেলে। অহেতুক হর্ন বা শব্দ তৈরি ইসলামি শিক্ষার পরিপন্থী। তিনি সকল প্রকার দুষণ রোধে জনসচেতন বৃদ্ধি করার জন্য দেশের আলেম উলামাগণের প্রতি আহ্বান জানান।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি, ইএনটি হেড-নেক ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ এবং শব্দ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আহমেদ।