সীমান্তের নদীতে দুই মরদেহের ময়নাতদন্ত এখনও হয়নি,সুরতহালেও ঝলসানো-আঘাতের চিহ্ন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার শফিকুল ইসলাম ও সেলিম রেজার মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়নি এখনও। ফলে তারা কীভাবে মারা গেছেন তা জানতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে তাদের একজনের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও আরেকজনের শরীর ছিলো দাহ্য পদার্থে ঝলসানো।
রোববার সকালে নৌ পুলিশের রাজশাহীর গোদাগাড়ী জোনের পরিদর্শক তৌহিদুর রহমান মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল শনিবার দুপুর ও বিকালে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার তারাপুর এলাকা থেকে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফের নির্যাতনে মারা গেছেন তারা।
নৌ পুলিশের রাজশাহীর গোদাগাড়ী জোনের পরিদর্শক তৌহিদুর রহমান বলেন, সেলিম রেজার শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। মাথায়, বুকে, গলায়, কাঁধে, হাতে-পায়ে গভীর আঘাত করা হয়েছে। অন্যদিকে শফিকুলের মরদেহ ছিল ঝলসানো। গরম কোন কিছু দিয়ে অথবা দাহ্য পদার্থ দিয়ে ঝলসানো হয়েছে তার শরীর। সারা শরীরে ফোসকা রয়েছে। তবে দুজনের কারো শরীরে গুলির চিহ্ন নেই।
তৌহিদুর রহমান আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে চাইলে মামলা দায়ের করতে পারেন। তারা মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শফিকুল ইসলাম ও সেলিম রেজা পদ্মা নদীতে মাছ ধরার পাশাপাশি সীমান্তে চোরাচালানের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে তারা নদীপথে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে যান। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। সীমান্তবর্তী তারাপুর এলাকার পদ্মা নদী থেকে শনিবার দুপুরে শফিকুলের এবং বিকালে সেলিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিএসএফে নির্যাতনে দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। শফিকুল ইসলাম ও সেলিম রেজার বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার তারাপুর-হঠাৎপাড়ায়।