বৃত্তি পরীক্ষা সম্পর্কে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি

ঢাকা, ১৮ শ্রাবণ (২ আগস্ট):
সম্প্রতি বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা বিষয়ে উত্থাপিত বক্তব্যের প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য বিবৃতি প্রদান করা হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা বৈষম্যমূলক, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। কারণ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী সকল শিশুর জন্যই উন্মুক্ত। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭(ক) অনুচ্ছেদ এবং বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন, ১৯৯০ অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী সকল শিশুর অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে কোন পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ নীতি কার্যকর নেই। যারা নিজেদের সন্তানদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়ান, তারা স্বেচ্ছায় তা করেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা শুধু পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য। বাংলাদেশের শিক্ষা জরিপগুলিতে দেখা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত পরিবারের। পক্ষান্তরে, কিন্ডারগার্টেনে অধ্যয়নরত বেশিরভাগ শিক্ষার্থী তুলনামূলকভাবে স্বচ্ছল পরিবারের। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর সন্তানদের শিক্ষার ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে একটি আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে।
কিন্ডারগার্টেনসমূহ তাদের এসোসিয়েশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শুধু তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন বৃত্তি পরীক্ষা চালু রেখেছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা সে বৃত্তি পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করতে পারে না।