প্রাথমিক পর্যায়ের ঐকমত্যের বিষয়গুলোর তালিকা রাজনৈতিক দলকে আগামীকাল পাঠানো হবে-- অধ্যাপক আলী রীয়াজ

ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই):
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, মার্চ মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় অনেকগুলো বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আবার, এসবের মধ্য থেকে কিছু কিছু বিষয় দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায়ও ফিরে এসেছে। কিন্তু, সামগ্রিকভাবে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় যে সকল বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার একটা তালিকা রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামীকাল পাঠানো হবে।
আজ ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ২১তম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব বিষয় জানান। এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
সংসদে নারী প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে আজকের আলোচনার অগ্রগতির বিষয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, প্রায় সকল রাজনৈতিক দল জাতীয় সংসদে নারী আসন ১০০টিতে উন্নীত করার বিষয়ে একমত। এই আসনগুলোর নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় একমত না হলেও বিদ্যমান ৫০টি আসন যে অবস্থায় আছে, তা অক্ষুণ্ন থাকবে তবে, পর্যায়ক্রমে নারীদের আসন কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়ে আমরা অনেকটাই ঐকমত্যের জায়গায় এসেছি। আগামীকাল কমিশনের পক্ষ থেকে একটা লিখিত ভাষ্য দিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এছাড়া আজ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আজ কমিশনের পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে একটি সংশোধিত ও সমন্বিত প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে যে ৫ সদস্যবিশিষ্ট বাছাই কমিটির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে কারো ভিন্নমত নেই। তবে র্যাংক চয়েজের ব্যবহার হবে কি না এই বিষয়ে আলোচনা আটকে যাচ্ছে। র্যাংক চয়েজ নিয়ে বিএনপিসহ আরো কয়েকটি দলের ভিন্নমত আছে। এ বিষয়ে কমিশন আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানান তিনি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।