সংবাদ শিরোনাম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, ১০ কিলোমিটার যানজট

 প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৭ অপরাহ্ন   |   জাতীয়

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, ১০ কিলোমিটার যানজট


কুমিল্লার চান্দিনায় বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন পোশাকশ্রমিকরা। প্রায় সোয়া ১ ঘণ্টার অবরোধে মহাসড়কে দুই পাশে অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ৯টায় মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার পশ্চিম বেলাশহর এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বেলাশহর এলাকার ‘ডেনিম প্রসেসিং প্লান্ট’ নামে একটি তৈরি পোশাক কারাখানার শ্রমিকরা। পরে পৌনে ১১টায় প্রশাসনের হস্তপেক্ষে অবরোধ প্রত্যাহার করে মহাসড়ক থেকে আন্দোলনকারী শ্রমিকরা সরে গেলে যান চলাচল শুরু হয়। দুপুর পৌনে ১টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার কোরপাই থেকে চান্দিনার মাধাইয়া এলাকা পর্যন্ত অন্তত ১০ কিলোমিটার জুড়ে যানবাহনের তীব্র চাপ রয়েছে। যানজট নিরসনে কাজ করছে হাইওয়ে ও জেলা পুলিশ।ডেনিম প্রসেসিং প্লান্ট এর একাধিক শ্রমিক অভিযোগ করেন, দুই মাস ধরে কারখানাটির অনিয়মিত। তাই শুক্রবার অনেকটা বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নেমেছেন তারা। প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ-প্রশাসন ও বিএনপির নেতাকর্মীদের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।এদিকে শুক্রবার কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা বিএনপির সম্মেলন থাকায় মহাসড়ক হয়ে নেতাকমীর্রা সভাস্থলে আসতে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কায় পুলিশের সঙ্গে মহাসড়কের যানজট নিরসনে কাজ শুরু করে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।উপজেলা বিএনপি আহবায়ক মো. আতিকুল আলম শাওন জানান, শুক্রবার সকালে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করায় আমরা ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলি এবং তাদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করতে মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সুষ্ঠু সমাধান করবো বলে আশ্বস্ত করি। আমাদের কথার উপর ভরসা করে তারা মহাসড়ক থেকে সরে দাঁড়ায়। শুক্রবার জুমার দিন, মহাসড়কের যানজট নিরসনে আমাদের নেতাকমীর্রা কাজ করছে। হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করায় আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের বেতনভাতা পরিশোধ করার আশ্বাসে তারা মহাসড়ক থেকে সরে দাঁড়ায়। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা অবরোধে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে চেষ্টা করছে হাইওয়ে পুলিশ। দুপুরের মধ্যে যান চলাচল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।