ঢাকা, ২৫ ভাদ্র (৯ সেপ্টেম্বর):

১৩টি ট্রাভেল এজেন্সির গ্রুপ বুকিংয়ের নামে অনির্দিষ্টকালের জন্য চাহিদাসম্পন্ন রুটের এয়ার টিকিট ব্লক করে রাখা এবং whatsapp গ্রুপসহ সাব-এজেন্টের মাধ্যমে উচ্চ মূল্যে টিকিট বিক্রয়ের সাথে সম্পৃক্ততার কারণে তাদের এজেন্সি নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। এসব ট্রাভেল এজেন্সি বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অস্বাভাবিক দামে অতিরিক্ত মুনাফার উদ্দেশ্যে টিকিটের মজুতদারি, কালোবাজারি ও প্রতারণামূলক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়েছিল। 

বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর ধারা ৯ অনুসারে ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এবং ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে আত্মপক্ষ সমর্থনে শুনানির সুযোগ প্রদান করে। শুনানিতে দুটি ট্রাভেল এজেন্সি হাজির হয়ে কাগজপত্র দাখিল করলেও অপর এগারোটি ট্রাভেল এজেন্সি আত্মপক্ষ সমর্থনে শুনানিতে হাজির হয়নি। এমনকি তারা কোনো প্রকার তথ্য প্রদান করেনি, যা বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা 

২০২২-এর বিধি ১০-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। উপস্থিত হওয়া দু’টি ট্রাভেল এজেন্সির দাখিলকৃত কাগজপত্র ও সাক্ষ্য পর্যালোচনায় তাদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয় প্রমাণিত হয়।

বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর ধারা ৯ এবং বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২ এর বিধি ১০ ও ১৫ লঙ্ঘন ছাড়াও নিবন্ধন সনদের গুরুত্বপূর্ণ শর্তাবলি লঙ্ঘন করায় জনস্বার্থে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা ও আকাশ পরিবহন খাতে সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য  কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনাল (প্রাঃ) লিমিটেড, সিটিকম ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্সি (প্রাঃ) লি., আরবিসি ইন্টারন্যাশনাল, মেঘা ইন্টারন্যাশনাল এয়ার সার্ভিস, মাদার লাভ এয়ার সার্ভিস, জে এস ট্রাভেল এন্ড ট্যুরস, হাসেম এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, ফোর ট্রিপ লিমিটেড, কিং এয়ার এভিয়েশন, বিপ্লব ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্ট, সাদিয়া ট্রাভেলস, আত-তাইয়ারা ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল ও এন এম এস এস ইন্টারন্যাশনালসহ মোট ১৩টি ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন সনদ বাতিল করা হয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ এ কে এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক আদেশে ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর নিবন্ধন বাতিল করা হয়।

আকাশপথের যাত্রীসাধারণের স্বার্থ সংরক্ষণার্থে সরকার কর্তৃক বার বার সতর্কবার্তা প্রেরণের পরেও যেসব ট্রাভেল এজেন্সি, জিডিএস, জিএসএ বা এয়ারলাইন্স সিন্ডিকেটের মাধ্যমে টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে তাদের বিষয়ে সরকার কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বাতিলকৃত ট্রাভেল এজেন্সিসমূহের সাথে কোনো প্রকার এয়ার টিকিট ক্রয়-বিক্রয়সহ ব্যবসায়িক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।