দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ অভিযান অব্যাহত

ঢাকা, ১০ শ্রাবণ (২৫ জুলাই):
দেশের বিভিন্ন
অঞ্চলে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং তিতাস গ্যাস
কর্তৃপক্ষের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে
তাদের জিরো টলারেন্স নীতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
জ্বালানি ও
খনিজ সম্পদ বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে গতকাল তিতাস গ্যাস টি এন্ড
ডি পিএলসি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে সমন্বিত মোবাইল কোর্ট
অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানে অবৈধ বাণিজ্যিক ও আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন,
অবৈধ সরঞ্জামাদি জব্দ এবং জরিমানা আদায় করা হয়।
গতকাল
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, মিরপুর, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এবং খিলক্ষেত-উত্তরখান এলাকায়
অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে কঠোর ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।
অভিযানে
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মীরেরবাগে একটি নামবিহীন ওয়াশিং কারখানায় অবৈধ সংযোগ
বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং ১ হাজার ৭০০ ঘনফুট/ঘন্টা লোডের গ্যাস ব্যবহার বন্ধ করা হয়।
এছাড়া, এক আবাসিক গ্রাহকের ১টি চুলার অনুমোদনের বিপরীতে ৩৬টি চুলা ব্যবহারের
অপরাধে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এই অভিযান থেকে মাসিক প্রায় ৪ লাখ ৪ হাজার ২৫৮
টাকার গ্যাস সাশ্রয় হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
একইভাবে
মিরপুরের ডেনিম্যাক্স ওয়াশিং প্লান্ট, সানরাইজ ওয়াশিং, আটলান্টা ফেব্রিকস
ইন্টারন্যাশনাল এবং নিউ জিন্স ওয়াশিং এন্ড ডাইংয়ের মতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অবৈধ
ও অননুমোদিত গ্যাস ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া, আলুব্দী এলাকায় একটি অবৈধ বিতরণ
লাইন অপসারণ করে ৩০টিরও বেশি আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। মিরপুর অঞ্চলে
সর্বমোট ১১ হাজার ১৩০ ঘনফুট/ঘন্টা অবৈধ গ্যাস লোড বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
অপরদিকে
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার জামালদি, বালুয়াকান্দি, ভাটেরচর এবং চর বাউশিয়া এলাকায়
অবস্থিত অবৈধ চুন কারখানা ও অন্যান্য অবৈধ স্থাপনার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
দুটি বৃহৎ অবৈধ চুন কারখানায় অভিযান চালিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে স্থাপনা ভেঙে দেওয়া
হয়। এই অভিযান থেকে দৈনিক প্রায় ২ লাখ ৯৩ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যের ১৮ হাজার ঘনফুট/ঘন্টা
গ্যাস সাশ্রয় হবে।
মোবাইল
কোর্ট আজ খিলক্ষেত-উত্তরখান এলাকায় অবৈধভাবে পুনঃসংযুক্ত আবাসিক লাইন বিচ্ছিন্ন
করেছে। এছাড়াও, পিএসডিই ফ্যাশন ওয়াশিং লিমিটেড এবং আবু হুরাইয়া ওয়াশিং ফ্যাক্টরিতে
অবৈধ বাণিজ্যিক গ্যাস ব্যবহারের জন্য ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় একটি
অবৈধ বিতরণ লাইন অপসারণ করে ২০টি অবৈধ আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
পরিচালিত
অভিযানগুলোতে বিপুল পরিমাণ এম.এস. পাইপ, জিআই পাইপ, হোস পাইপ, রেগুলেটর, বুস্টার
এবং কম্প্রেসর বা বয়লারের মতো অবৈধ সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।