সংবাদ শিরোনাম

বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আগুন–ভাঙচুর, আহত ২৫

 প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৮ অপরাহ্ন   |   জেলার খবর

বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আগুন–ভাঙচুর, আহত ২৫

প্রতিদিনের দেশ ডেস্ক :

ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।

৭ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ওয়াপদার মোড় এলাকায় প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলার সময় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় বিএনপির এক পক্ষের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়, অন্তত ১১টি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয় এবং আশপাশের দোকানপাটে ভাঙচুর চলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা বিএনপির দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা — কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম ও সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া (ঝুনু) -এর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। উভয়েই ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, মধুখালী) আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে চান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল চারটার দিকে দুই পক্ষের মিছিল মুখোমুখি হলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পরে নাসিরুলপন্থীরা শামসুদ্দিনের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এসময় রামদা, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলাকারীদের দেখা যায়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শিব্বির আহমেদ ও থানার ওসি মাহমুদুল হাসান সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে হামলাকারীদের তাণ্ডবে তারা স্থান ত্যাগ করেন।

শামসুদ্দিন মিয়া অভিযোগ করেন, “আমরা প্রশাসনকে জানিয়ে অনুষ্ঠান করছিলাম। নাসিরুলের লোকজন আওয়ামী লীগের সহযোগিতায় অতর্কিতে আমাদের ওপর হামলা চালায়।” তার দাবি, তাদের ১৭ জন কর্মী আহত হয়েছেন এবং কার্যালয়ে থাকা বেগম খালেদা জিয়ার ছবি ভাঙচুর করা হয়েছে।

বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবস্থান নেয়, এরপর ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, “বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়েছে। তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।